গরু পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়। দুই আইপিএস–কে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে, এই দুই আইপিএস–এর একজন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ছিলেন। অন্যজন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদেরকেই সাক্ষীর জন্য ডাকা হচ্ছে বলে খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের নজরে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর–ডিএসপি পদমর্যাদার ৬ অফিসার। আজই তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সিবিআই দাবি করেছে, কয়লা–গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে এঁদের যোগ রয়েছে। সেই তথ্য রয়েছে তাদের হাতে। আরও কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। আগামীদিনে তাঁদেরও তলব করা হবে। গরু পাচারকাণ্ডে সতীশকুমার, এলামূল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই একে একে ক্লু সামনে আসতে শুরু করে। তদন্ত করে উঠে আসে এই দুই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের নাম।
৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর দুটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আজই গরু পাচারকাণ্ডে ৬ পুলিশকর্মীকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। এই নোটিস পাঠায় সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। এর আগে মালদার দুই পুলিসকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, এর আগে গনেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সিবিআই। কয়লা ও গরু পাচারের টাকা পয়সার সরাসরি গনেশ বাগারিয়ার কাছে এসেই পৌঁছত বলে খবর। ফলে এক্ষেত্রে জেরায় একাধিক ক্লু মিলতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই।
