কয়লাপাচার কাণ্ডের চাঁইদের হেপাজতে নিতে আরও তৎপর সিবিআই। বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের ১০টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন ৭৫ জন আধিকারিক। দুর্গাপুর, আসানসোল, রানীগঞ্জের একাধিক জায়গায় লালা ও বিনয় মিশ্র ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চলে। কলকাতায় আরও পাঁচটি দল রয়েছে সিবিআইয়ের। আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।
গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হককে হেপাজতে পেলেও কয়লা পাচারের চাঁইরা এখনও সিবিআইয়ের নাগালের বাইরে রয়েছেন। ফলে তথ্যপ্রমাণ বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কয়লা পাচারের চাঁইদের বারবার নোটিস পাঠানো সত্বেও তারা সিবিআইয়ের অফিসে হাজিরা দেননি। তাই কয়েকজনের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
১১ জানুয়ারি কয়লা পাচারকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে অভিযান চালায় ইডি। ১২টিরও বেশি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল। কলকাতার একাধিক জায়গায় আজ সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু হয়ে যায়। বড়বাজারে সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছে। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ১৫টি গাড়িতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকরা। লালা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর, লেকটাউনের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। অন্যদিকে গড়িয়া, শ্রীরামপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোলের ইসিএল কর্মী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা হানা দিয়েছিলেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, এখনও মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ পায়নি সিবিআই। তবে এবার কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের হদিশ পেতে কোমর বেঁধে নামল ইডিও। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের সঙ্গে বাংলার রাজনীতি মহলের একাধিক রাঘব বোয়াল জড়িত। টাকার ‘গমন পথ’ ধরে সেই আঁতাঁত প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।