জেলা

সিবিআই হানা তিন ব্যবসায়ীর বাড়িতে

কয়লা–গরু পাচার নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুই মামলার তদন্তে অত্যন্ত সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। গরু পাচারচক্রের রাঘব বোয়ালদের শায়েস্তা করতে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।
জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ–কে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। একযোগে লেকটাউন, রাসবিহারী এবং চেতলার বাড়িতে হানা দেয়। বিনয় মিশ্র এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। গরু–কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তের পরেই বেপাত্তা হয়ে যান তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু–পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছে দিতেন বিনয় মিশ্র। এই অভিযোগের সপক্ষে একাধিক সাক্ষীর বয়ানও রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। আজ তল্লাশি অভিযানের সময় বিনয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাতের আবহে কোনও আইনি জটিলতা এড়াতে রীতিমতো আদালতের পরোয়ানা নিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। এদিন কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিং ও নবীন সিং নামে ওই দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি হানা দিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
কয়লা–গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিনয় মিশ্রর নাম উঠে আসে। এছাড়াও একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে গরু–পাচারের জাল ছড়িয়ে রয়েছে। এনামুল ছাড়াও ইতিমধ্যেই বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এবার দু’‌জনকে মুখোমুখি বসিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লি থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তারের পরই জানা যায়, এই পাচার চক্রের সঙ্গে রাঘব বোয়ালরা যুক্ত। বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের একাধিক কর্তাব্যক্তির মদতে সীমান্তে গরু–পাচার চলত। ব্যবসায়ী রাজেন পোদ্দার ও বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও পেয়েছেন সিবিআই কর্তারা। কয়েকদিন আগেই লালা ওরফে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বিনয় মিশ্রর নামে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে যাতে সে শহর থেকে বেরোতে না পারে। আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। তৃণমূলের যুব নেতার ঘনিষ্ঠ বিনয়। ৩১৩/৩, বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ে গণেশ বাগাড়িয়া নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই ফ্ল্যাট ছাড়াও কলকাতায় লালার ঘনিষ্ঠদের আরও পাঁচটি বাড়ি, অফিসে তল্লাশি হয়। গরু–পাচার কাণ্ডেও তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে লালা ওরফে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাজির নাম।