এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে এবার সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই মামলায় হলফনামা জমা দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা জমার দেওয়ার পরই এই রায় দিল হাই কোর্ট। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার।
এদিন ভুয়ো সুপারিশ পত্রগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে রাজ্য। সেই মতো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মের পরোয়া না করে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। এরপরই ওই ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের নথি-সহ কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই মতো এসএসসি সচিব হলফনামা জমা দেন। হলফনামা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসএসসি সচিবকে ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। হলফনামা জমারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা জমা দিলেও সন্তুষ্ট হয়নি হাই কোর্ট। শেষ পর্যন্ত আজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।