বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর প্রতিবাদে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প ঘেরাও করে লালনের পরিবার ও অনুগামীরা। অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে রাস্তায় বসে প্রতিবাদের পাশাপাশি, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয় জাতীয় সড়কে যানচলাচল। এমনকি ব্যরিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে সিবিআই অফিসেই বন্দি থাকতে হয় সিবিআই আধকারিকদের। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্বেও কিভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা, প্রশ্ন লালনের পরিবারের।
লালন শেখের মৃত্যুর সময় সিবিআই শিবিরে ছিলেন এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। ফলে লালনের মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের নিরাপত্তাতে এতটা ঢিলেমি কেন ছিল? পুলিশের এটাও অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ আদালের গাইডলাইন ফলো করা হয়নি। ছিল না ২৪ ঘন্টা সিসিটিভি নজরদারি। লালনের দেহ উদ্ধারে দৃশ্য নিঃসন্দেহে ভয়ঙ্কর। এর থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর বিষয় হল, লালনের মৃত্যু মানেই বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অনেকটাই পিছিয়ে গেল।
লালনের মৃত্যুতে যে বেজায় অস্বস্তিতে রয়েছে সিবিআই, তা বলাই বাহুল্য। সোমবার রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে মৃত্যুর ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের কাছ থেকে। পাশাপাশি, লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।