নারদ মামলায় চার হেভিওয়েটের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। ‘হাউজ় অ্যারেস্ট’ বাতিলের দাবিতে সোমবারই তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। আজই শুনানির হবে। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তের স্বার্থে চার হেভিওয়েটকে ‘জুডিশিয়াল কাস্টডি’–তে রাখা হোক। সোমবার ছিল এই জামিন মামলার শুনানি। কিন্তু তার আগেই মাঝরাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অনলাইনে মামলা করল সিবিআই। বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন নিয়েই সর্বোচ্চ আদালতের গিয়েছে সিবিআই।
নারদ মামলার তদন্তে শুক্রবার পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই শুনানি। মধ্যরাতে আদালতের দ্বারস্থ এই প্রথমবার নয়। জামিন মামলার জন্য যে শুনানি হওয়ার কথা ছিল তার বিরুদ্ধেই স্থগিতাদেশের আবেদন করেছে। সুতরাং ১১টায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই রয়েছে। তারপরে আজকেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার শুনানিতে শুরু থেকেই হেভিওয়েটদের জামিনের বিষয়টিতে দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল তাঁদের গৃহবন্দি রাখার পক্ষে ছিলেন, অপর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জামিন দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ, দুই বিচারপতির মতপার্থক্য হওয়ায় মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে যায়। তাহলে কি সুপ্রিম কোর্টেই যাচ্ছে নারদ মামলা? আগেই শীর্ষ আদালতে কেভিয়েট দাখিল করে রেখেছিল সিবিআই। সুতরাং একটা ইঙ্গিত ছিলই। এদিন তাতেই সিলমোহর পড়ল। ১৭ মে এই চারজন নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।