রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তার মধ্যেই গরু পাচারকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধানে দিনভর কলকাতায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। এছাড়া আয়কর দপ্তরও হানা দিয়েছিল আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাধিক কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়ি–অফিসে। এই তল্লাশিকে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কলকাতায় সিবিআই তল্লাশিতেই মিলল সূত্র। শুক্রবার ভোরে দিল্লি থেকে গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত, মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হককে গ্রেপ্তার করলেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
রাজ্যে গরু পাচারকাণ্ডে কলকাতার চার জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। মানিকতলায় ব্যবসায়ী রাজন পোদ্দারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি আটক করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মোট ১৬ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি সংগ্রহ করেছিল তদন্তকারী এই সংস্থা। কয়েকদিন আগেও কলকাতায় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক–সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সীমান্তে গরুপাচারে যোগসাজশ ছিল বিএসএফেরও বলে অভিযোগ।
এই বেআইনি নিলামে কম দামে গরু কিনে নিত কুখ্যাত পাচারকারীদের কিংপিন এনামুল হক, আনারুল এবং মুস্তাফারা। তল্লাশি চালিয়ে তখনই সিবিআই জানতে পারে, প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের যোগসাজশের কথা। এরপর তদন্তকারীরা সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি আটক করে। এই সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র এবং তাকে জেরায় মেলা তথ্যের ভিত্তিতে এনামুলের সন্ধান মেলে। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই সক্রিয় হওয়ার পর থেকে এনামুল পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
