দেশ লিড নিউজ

রাজীব কুমার ইস্যুতে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে

এবার আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে হেফাজতে চাইল সিবিআই। রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে করা আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি জেলে বসে সারদা নিয়ে লেখা চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি সরাসরি এল আদালতে। চিঠির বিষয় বয়ান হিসাবে গ্রহণ করে মামলার রেকর্ডে তা অন্তর্ভুক্ত করল আদালত। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, সারদা সংস্থার কোন কোন কর্মচারী এই প্রতারণার জন্য দায়ী ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা, যাঁরা অ্যাকাউন্ট বহির্ভূত টাকা নিয়েছেন, তাঁদের নাম ও টাকার পরিমাণ ওই চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন।
সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ২৭২ পাতার আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যাতে বলা হয়েছে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইডি–কে দেওয়া বয়ানে সুদীপ্ত সেন–কুণাল ঘোষ, দু’‌জনেই রাজীব কুমারের নাম করেছিল। তাই সারদা তদন্তে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কুণাল ঘোষ বলেন, সম্প্রতি তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী তাঁকে জানান, সুদীপ্ত সেন তাঁর নিজের হাতে লেখা ২১ পাতার একটি চিঠি তাঁর বয়ান হিসেবে সিএমএম আদালতের কাছে পাঠান। বিচারক সারদা মামলায় সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, সারদা তদন্তে গঠিত সিটের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য, নথি লোপাটের অভিযোগ ওঠে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বাসভবনে হানা দেয় সিবিআই। তখন কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সিবিআই অফিসারদের কার্যত ধস্তাধস্তি হয়।
এই চিঠি সারদাকর্তা রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, সিবিআই এর ডিরেক্টর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সিএমএম কলকাতার উদ্দেশ্যে লিখেছেন। ২০১৩ সালে সুদীপ্ত সেন যখন অন্তর্ধান অবস্থায় ছিলেন, তখন সিবিআইকে লেখা তাঁর টাইপ করা চিঠিটি সামনে এসেছিল। তাতে শুধু সই ছিল সুদীপ্ত সেনের। তাঁকে পাওয়া না গেলেও ওই বছরের ১৮ এপ্রিল দিল্লিতে এক রাজনৈতিক নেতা চিঠিটি দেখিয়ে সেটি প্রথম প্রকাশ করেন।