বোলপুরে অনুব্রতর গড় থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হবে নিজাম প্যালেসে। গরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে।
বৃহস্পতিবার সকালবেলায় বোলপুরের ছবিটা একেবারে বদলে যায়। হঠাৎ করেই সেখানে পৌঁছায় সিবিআই এর একটি বড় দল। এরপর সিবিআই যে গেস্ট হাউসে গিয়ে ওঠে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত হন একজন ব্যাংক কর্মীও। প্রসঙ্গত, এই বোলপুরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার থেকে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কারণ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই দফতরে হাজিরা না দেওয়া এবং তার অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম এর চিকিৎসক থেকে শুরু করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসক পর্যন্ত যে ডামাডোল রচিত হয়েছিল সেই রচনার পরিসমাপ্তি ঘটাল সিবিআই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি গাড়িতে করে সিবিআই আধিকারিকরা বুধবার রাতেই বোলপুর এসে পৌঁছে যান। এর মধ্যে তিনটি গাড়ি কলকাতা থেকে এবং দুটি গাড়ি আসানসোলের সিবিআই দফতর থেকে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবারই অনুব্রত মণ্ডল তাঁর আইনজীবী মারফত তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সিবিআই এর কাছে ১৪ দিনের সময় চান। কিন্তু সেই চিঠি পাওয়ার পরই বুধবার মধ্যরাতে বোলপুরে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজ বাসভবন থেকে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই।