এবার সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকার। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া পিএম কেয়ারস তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলে দিয়ে দেওয়া হোক। এই আর্জি করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই টাকা দেশের বিশিষ্টজনেরা প্রধানমন্ত্রীর তৈরি নয়া তহবিলে জমা দিয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে দেশের মানুষের পাশে সরকার দাঁড়াতে পারে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সেখানে গোটা তহবিল স্থানান্তরে রাজি হয়নি সর্বোচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি অশোক ভূষণের তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, পিএম কেয়ারসের সংগৃহীত তহবিল ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। তাছাড়া পিএম কেয়ারসের তহবিল বিভিন্ন চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দান। এভাবে অনুদানের টাকা জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলে প্রবেশ করানো যায় না। তাই তহবিল স্থানান্তরের প্রয়োজন নেই। এই নির্দেশ দেওয়ার পর টাকা যে আর স্থানান্তর করা যাবে না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। বিরোধীদের দাবি, এই টাকা অন্যত্র সরিয়ে ভোটের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। সেটা হল না।
সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের আর্জি ছিল, স্বচ্ছতার খাতিরে ও করোনা মোকামিলায় আরও শক্তিশালী হতে পিএম কেয়ারস থেকে টাকা দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলে দেওয়া হোক। তবে, এর আগেই এই আর্জি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিএম কেয়ারস একটি অনুদানের ফান্ড। সেখানে যে কেউ সরাসরি টাকা দান করতে পারেন। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলে এভাবে জনগণের অনুদানের টাকা প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার তহবিল তৈরি করতে গঠিত হয় পিএম কেয়ারস তহবিল। এরপর থেকে বারবার তার বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। আর্জিকারীসেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের আইনজীবী দুশ্যন্ত দাভে ও প্রশান্ত ভূষণের দাবি ছিল, বর্তমানে পিএম কেয়ারসের কোটি কোটি টাকার অডিট করার অধিকার নেই। এই তহবিল করমুক্তও। ফলে স্বচ্ছতার কোনও অভাব নেই।
