ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

বর্ষা মাথায় করে প্রচার ফিরহাদের

প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও কলকাতার ১০ নম্বর গোবিন্দ আড্ডি রোডে ভবানীপুর উপনির্বাচনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার সারলেন কলকাতা পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রচার করতে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার সঙ্গেই তিনি জনসংযোগ করেন।

প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও ভিজে ভিজে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গেলে সাধারণ মানুষ তাঁকে বলেন তিনি যেন বৃষ্টির মধ্যে না ভেজেন। তারা ভোটের দিন ঠিক সময়ে চলে যাবেন এবং ভোট দিয়ে আসবেন। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান তিনি আজকে বৃষ্টির মধ্যেও প্রচার করছেন। আর এই প্রচারে মানুষ যথেষ্ট সাড়া দিয়েছেন তাকে। তারাও তাঁকে বলছেন বৃষ্টির মধ্যে না ভিজে বাড়ী ফিরে যেতে। তারা 30 তারিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দেবেন।

ফলে বোঝা যায় মানুষের যে প্রবল উচ্ছাসে রয়েছে তা একেবারেই চোখে পড়ে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বিজেপি টুইটারে বলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোজগার তেমন নেই তাই ইনকাম সেইভাবে নেই। তার ভাইদের যা রয়েছে তাতেই তার হয়ে যায়। এই কথার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে কুৎসা করে কোনদিন কোন কিছু হাসিল করা সম্ভব হয়নি।

তার সম্পর্কেও মানুষ অনেক কুৎসা রটিয়ে ছিল ২০১৬ এবং ২০২১ সালে। কিন্তু তিনি প্রচুর ভোটে জয় যুক্ত হয়েছিলেন। তাই মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবে সেই বিষয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। সারা বছর মানুষের জন্য যারা কাজ করে এবং মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাদের মানুষ চেনে ও জানে তাদেরকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ত্রিপুরায় এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে না যেতে দেওয়া এবং তার র‍্যালিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যতই আটকে দিক কিন্তু ত্রিপুরায় তাদের নিজস্ব লোক রয়েছে তারাও বিপুল ভোটে সেখানে জনসংখ্যা নিয়ে জিতবে বলে জানাচ্ছেন।আগামী দিনে তারা সেখানে তাদের জনসংখ্যা গড়ে তুলবেন। পুলিশ দিয়ে আটকে তাদের কখনো আটকানো যাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ যতই বলুক যে অনেক ভ্যাকসিন রয়েছে কলকাতা পুরসভার কাছে আসলে তিনি নিজে কিছু জানেন না। একবার ভ্যাকসিনের সাইটে গিয়ে যে অ্যাপ রয়েছে সেখানে গিয়ে দেখুন কত সংখ্যক ভ্যাকসিন রাজ্য সরকার কে দেওয়া হয়েছে।