কয়েকটি রাজ্যের হাইকোর্ট নিয়মিত কাজকর্ম চালু করার তোড়জোড় শুরু করলেও কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত সেই পথে হাঁটছে না। সরকার লকডাউন না তোলা পর্যন্ত চালু হবে না কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ হাইকোর্টের কর্মী, অফিসার থেকে আইনজীবীদের অনেকে ট্রেন, বাস, মেট্রো রেলে করে আদালতে আসেন। গণ পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে আদালত চালু করা সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বর্ষীয়ান বিচারপতিদের উপস্থিতিতে হাইকোর্টের তিনটি বারের বৈঠক হয়। সেখানে লকডাউনের মধ্যে আদালত না খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি লকডাউন শেষ হওয়ার পর সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মেনে আদালত চালু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাব বারগুলিকে হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হয়েছে। তিনটি বারের সঙ্গে বৈঠকের পর কিছু সিদ্ধান্ত ও কিছু প্রস্তাব হাইকোর্ট লিখিতভাবে বারগুলির কর্তাদের পাঠিয়েছে।
ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি, বার লাইব্রেরি এবং বার অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার একসঙ্গে বৈঠক করে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রস্তাবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী সোমবার ১৮ মে ফের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনগুলি তাদের বক্তব্য পেশ করবে। লকডাউন ওঠার পরেও করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ভবিষ্যতের কথা ভেবে হাইকোর্ট আগাম বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যথা—পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে সব এজলাস রোজ বসবে না। ২৭টি এজলাস বসানোর যদি সুযোগ থাকে, তা হলে তার অর্ধেক যদি কোনও সপ্তাহে তিন দিন বসে, তা হলে পরের সপ্তাহে ওই এজলাসগুলি দু’দিন বসবে। বাকি এজলাসগুলি প্রথম সপ্তাহে দু’দিন বসলে পরের সপ্তাহে তিন দিন বসবে। তাতে ভিড় কমবে। মামলা চলাকালীন বিচারপতি ও তিন জন কর্মী বাদে মোট ছ’জনের বেশি আইনজীবী এজলাসে ঢুকতে পারবেন না। এমনকী, কোনও ক্ষেত্রে মক্কেলের উপস্থিতি জরুরি হলেও এজলাসে উপস্থিত মোট লোকের সংখ্যা ১০ জনের বেশি হবে না।
