রাজ্য

সব কেন্দ্রের উপনির্বাচন সেপ্টেম্বর মাসে হচ্ছে না!‌

সেপ্টেম্বরে কি উপনির্বাচন হচ্ছে রাজ্যে? শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক বাতিলের পর উপনির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনাই জোরাল হচ্ছে। ডেডলাইন এগিয়ে আসছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গড়িমসি কাটার নাম নেই। ভবানীপুর, খড়দহ–সহ রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং সাধারণ নির্বাচন বকেয়া। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে তা হওয়া প্রয়োজন।

আচমকা বাতিল হয় বৈঠক। ফলে চলতি মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রইল না বলে মনে করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে অক্টোবর মাসে উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। উল্লেখ্য, দুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পরে কমিশনকে চিঠি দিয়ে পুজোর আগেই উপনির্বাচনের অনুরোধ করেন তিনি। তাহলে পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দুই আসনে নির্বাচন হবে কবে? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের মতে, একমাত্র আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তবেই পুজোর আগে ভোট হওয়া সম্ভব। এর মধ্যে ভোটের দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ফলে ভোট হওয়া নিয়ে আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, পুজোর আগে নির্বাচন করাতে হলে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কারণ বিজ্ঞপ্তি জারি হ‌ওয়ার ন্যূনতম ২৪ দিন পর ভোটগ্রহণ হয়। সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভোট হতে পারে। সাধারণ নিয়মে সেপ্টেম্বর মাসের ৬-৭ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে অক্টোবরের গোড়াতেই হতে পারে ভোট। আবার ৬ অক্টোবর মহালয়া। তার চারদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে পুজোর ছুটি। চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের সব দপ্তর এবং কমিশনের সিইও অফিসে সেই সময় পুজোর ছুটি থাকবে। ফলে ভোটের জন্য পুজোর আগে মিলবে মাত্র তিন-চারদিন। মহালয়া থেকেই কার্যত উৎসবের রেশ শুরু হয়ে যায়।

২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী এবং ৬ তারিখ মহালয়া। ১০ অক্টোবর থেকে পুজোর ছুটি পড়ে যাচ্ছে। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি থাকবে সরকারি দফতর। ফলে পুজোর আগে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন সময় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে কমিশনকে। নচেৎ লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর মাঝের সময়ে ভোট হতে পারে। অতীতে কোনওদিন রাজ্যে পুজোর মধ্যে ভোট হয়নি। তাই মহালয়ার আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো ছুটির পর লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মাঝের সময়ে হতে পারে নির্বাচন।

পুজোর আগে বা পরে উপভোট করানোর জন্য প্রস্তুত নবান্ন। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই ভোট মিটিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এছাড়া যে কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীর মৃত্যু বা পদত্যাগের জন্য উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী, সেখানে ছ’মাসের মেয়াদ শেষ হবে ১ নভেম্বর। সিইও অফিস অবশ্য যে কোনও সময় ভোটের জন্য‌ প্রস্তুত। নবান্ন সহ রাজনৈতিক মহল যদিও পুজোর আগে এসবের পালা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই।