সেপ্টেম্বর মাসেই উপনির্বাচন চায় রাজ্য সরকার। সেপ্টেম্বর মাসে ভোট চায় রাজ্যে কমিশনের সিইও দপ্তরও। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এই মতই স্পষ্ট করে দিল দু’পক্ষ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই দাবি পেশ করলেন। এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রকে চিঠিও দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা যে উজ্জ্বল হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনও। কারণ, রাজ্যে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
পশ্চিমবঙ্গ–সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচন এখনও বাকি। রাজ্যগুলির পরিস্থিতি জানতে তাই সব রাজ্যের কমিশনের কর্তা এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সেক্রেটারি জেনারেল উমেশ সিনহা। ছিলেন ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন সহ অন্য অফিসাররাও। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। সেখানে রাজ্যের সিইও অফিসের কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা ভোট করতে প্রস্তুত।
এই মুহূর্তে ভোট হলে সমস্যা নেই। কারণ অক্টোবরের ১০ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি থাকছে দপ্তরে। ফলে এখনই ভোটের দিন ঘোষণা হলে ভোট করা সম্ভব। বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের পক্ষ থেকে দশেরা, দেওয়ালি প্রভৃতি উৎসবের কথাও উঠে আসে। পরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে, সেই কেন্দ্রগুলিতে তো বটেই, গোটা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়া। তার আগেই ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলতে চায় নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, ‘রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো। বিধানসভা ভোটের সময় পজিটিভিটি রেট ছিল ৩৩ শতাংশ। এখন তা অনেক কমে দেড়-দু’শতাংশে নেমে গিয়েছে। ভোট করা উচিত।’ ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যু বা পদত্যাগের কারণে ভোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।