১ জুলাই থেকে রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি বাস পথে নামবে বলেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল এই করোনা পরিস্থিতিতে বাস পরিষেবা চালু রাখার জন্য। মূল শর্ত ছিল ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে বাস। ১ জুলাই থেকে প্রায় ৩ হাজার সরকারি বাস নামার কথা। শুধুমাত্র কলকাতাতেই ৮০০ বাস নামার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকাল থেকে শহরের ‘বাস-চিত্র’ একেবারেই অন্যরকম। কারণ যে পরিমাণ বাস পথে থাকার কথা, তার ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা।
কেন এরকম হল? জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বহু সরকারি বাস সংস্থার কর্মচারী এদিন অফিসে আসতে পারেননি। ফলে বাস চালক ও কন্ডাক্টরের অভাবে বাস কম নেমেছে রাস্তায়। ধর্মতলা থেকে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে একই কারণে।
অপরদিকে পেট্রোল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য বেসরকারি বাস মালিকরা বাস নামায়নি বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বাস ভাড়া বৃদ্ধিরও ডাক দিয়েছেন বেসরকারি বাস সংগঠন-মালিকেরা। কিন্তু রাজ্য সরকার বাস ভাড়া বাড়াতে নারাজ। ফলে বাস মালিকরা বাস চালাতে নারাজ। ফলে সিংহভাগ বেসরকারি বাস এদিন রাস্তায় নামেনি। অধিকাংশ অফিস খুলে গেলেও বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে কালঘাম ছুটছে অফিস যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে বাস চলাচলের অনুমতি মিললেও পথে দেখা নেই বাসের। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
You must be logged in to post a comment.