রাজ্য

ভর্তুকি নয়, ভাড়া বৃদ্ধি চাই

বেসরকারি বাস পথে নামানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজ কাজ করল না। তা কার্যত প্রত্যাখ্যান করল বাস মালিকরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে। আর বাড়ানো যাবে না বাসভাড়া। তবে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট আগেই জানিয়েছিল তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে প্যাকেজ নয়, বাড়তি ভাড়ার ঘোষণা চান। রবিবার সিন্ডিকেটের সমস্ত সদস্য এই মর্মে সহমত পোষণ করলেন। ফলে সোমবার থেকে কতটা বাস রাস্তায় নামবে তা সময়ই বলবে।
এই প্যাকেজ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তের ফলে জেলায় সোমবার থেকে বেসরকারি বাস পরিষেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। কলকাতা ও শহরতলিতে বাস মিনিবাসের মূল সংগঠন, বাস মিনিবাস অপারেটর সংগঠন শনিবারই জানিয়ে দিয়েছে, তারাও প্যাকেজের বদলে ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে। অতএব সোমবার থেকে তাদের বাসও রাস্তায় ক্রমশ কমবে। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে নিত্যযাত্রীরা নাকাল হবেন এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার রাজ্য সরকার এবং তার পরিবহণ দপ্তর নতুন কোন পথ বের করে।
জানা গিয়েছে, একমাত্র মিনিবাস কো অর্ডিনেশন কমিটি, যাদের হাতে ১২০০ মিনিবাস আছে তারা কলকাতা ও হাওড়ায় পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা দেবে। উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বাস চালাতে বেসরকারি বাস মালিকদের আগামী তিন মাস ১৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেবে রাজ্য। এই প্যাকেজের জন্য খরচ হবে ২৭ কোটি টাকা। চালক–কন্ডাক্টরদের নিয়ে আসা হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন উঠছে, তাতে কী সামাল দেওয়া যাবে মানুষের চাহিদা?‌
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় অবশ্য মন ভরছে না বাস মালিক সংগঠনের। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় বাস মালিক সংগঠনগুলি। বাস মালিকদের দাবি, তাঁদের প্রত্যেকদিন বাস নামাতে খরচ হয় জ্বালানি বাবদ ৩৫০০ টাকা, বাসচালকের মাইনে ৮০০ টাকা, কন্ডাক্টরের মাইনে ৫০০ টাকা অন্যান্য খরচ বাবদ ১০০০ টাকা। মোট দৈনিক খরচ হয় ৫ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকা। সেখানে মাসিক ১৫ হাজার টাকায় কী করে বাস নামানো সম্ভব?‌