বুধবার রাতে রায়গঞ্জের রূপাহারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নয়নজুলিতে ডুবে যাওয়া বাস উদ্ধার করার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করল উত্তর দিনাজপুর জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের কোনও যাত্রী বা পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ ওই জলাশয়ে আটকে রয়েছে কিনা তার খোঁজেই ডুবুরির মাধ্যমে এই তল্লাশি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
এদিকে বাস দুর্ঘটনায় মৃত ছয়জনের মৃতদেহ রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত শিশু মহিলা সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে রায়গঞ্জের রূপাহারে বেহাল জাতীয় সড়কের কারনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঝাড়খণ্ড থেকে লক্ষ্মঊ গামী একটি পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই বাস। বাসে বেশ কয়েকজন শিশু ও মহিলাও ছিল। জাতীয় সড়ক বেহাল থাকার কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি নয়নজুলিতে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ শিশু ১ মহিলা সহ ৬ জনের। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর জেলা প্রশাসন।
রাতেই উদ্ধারকার্যে নামে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, দমকলবাহিনী ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ক্রেন দিয়ে ডুবন্ত বাসটিকে তোলা হয় নয়নজুলি থেকে। আজ সকাল থেকে ওই জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে জেলা প্রশাসন। ওই জলাশয়ে আর কোনও যাত্রী বা পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ রয়েছে কিনা তার খোঁজেই এই তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। বেহাল জাতীয় সড়কের কারনেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।