লাইফস্টাইল

হার্ট অ্যাটাকের পর যে অভ্যাস গড়ে তুলবেন

হৃদযন্ত্র মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মৃত্যুও ঘটে। নিজেদের অবহেলার কারণেই হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপের কারণে দেখা দেয় এ সমস্যা। হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ মূলত এগুলোই। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও বোঝার উপায় থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোক হৃদরোগজনিত কারণে মারা যায়। এর মধ্যে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকসহ কার্ডিওভাসকুলার রোগে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখা যায় যে, বিশ্বব্যাপী হার্ট অ্যাটাকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণরা। তবে পরবর্তিতে সুস্থ থাকতে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের পর আপনাকে সুস্থ থাকতে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

১। শরীরচর্চায় মন দিতে হবে। আগে এই অভ্যাস না থাকলেও নিয়ম করে আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা বিকেলে কিছুক্ষণ হাটুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে।

২। খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনুন। ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, শস্য এবং লেবু নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন। এছাড়াও আপনার ডায়েটে মাছ, চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবারও অন্তর্ভুক্ত করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিনের ডায়েটে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে এই খাবারগুলো রাখলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

৩। স্ট্রেস নেবেন না। কারণ এটি বাড়িয়ে তুলতে পারে আপনার শরীরের রক্তচাপ। যা হৃদযন্ত্রের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। সুতরাং স্ট্রেস এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে এমন কাজগুলো করুন।

৪। রুটিন করে পর্যাপ্ত ঘুমান। ভালো ঘুমও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য পরিচালনায় সহায়তা করে। নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমান। দিনের বেলায় না ঘুমানোই ভালো। এতে শরীরে আলসেমি আসতে পারে।

৫। বাদ দিতে হবে ধূমপান, মদ্যপান। ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এমনকি পরোক্ষ ধূমপানও। ধূমপান আপনার রক্তে ক্লট তৈরির প্রবণতা তৈরি করে যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

৬। সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। বিবাদ এড়িয়ে চলুন। কারো কোনো কিছু আপনার পছন্দ হচ্ছে না, এড়িয়ে যান। কারণ উচ্চস্বরে কথা বলা বা বিবাদ আপনার শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।