আন্তর্জাতিক

ধর্মবিদ্বেষের আগুনে ভাঙা হল বৌদ্ধ মূর্তি

সেখানে হিন্দু মন্দির তৈরি হবে বলে ঠিক হলেও তা হয়নি সংখ্যাগরিষ্ঠের চাপে। এবার পাকিস্তানে ফের একবার হিংসার আগুন ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ধর্মবিদ্বেষ নিয়ে বহুবার পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ভারত। এবার ফের একবার ইসলামাবাদ কার্যত নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে নিজেই ভারতের হাতে তুলে দিল সেই আক্রমণের বিপজ্জনক অস্ত্র। যাতে শান দেওয়া চলছে।
সূত্রের খবর, গান্ধার সভ্যতার সময়ের এক প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি পাকিস্তানে মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয়েছে। সেই মূর্তি উদ্ধার হতেই তাকে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান। আর এই ঘটনার তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাকিস্তান যে ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি তার একটা প্রমাণ মিলল। তারা যে ধর্মান্ধ উলটে সেটাই প্রমাণ হয়ে গেল।
জানা গিয়েছে, যে নির্মাণ কর্মীরা মাটির নিচ থেকে ওই বুদ্ধমূর্তি উদ্ধার করে তারা নিজেরাই তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষোভের জেরে এই মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট। এমনকী এই খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পাকিস্তানের পুরাতত্ত্ব বিভাগের দাবি, যে এলাকায় এটি হয়েছে সেই এলাকাকে তারা চিহ্নিত করেছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ইমরান সরকার মসনদে বসবার পর থেকেই সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়–সহ একাধিক সম্প্রদায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দরবারে বহুবার সেই তথ্য পেশ করেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধ মূর্তি পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে যেতেই নড়চড়ে বসেছে পাক প্রশাসন। কারণ চিনের সর্বকালের বন্ধু পাকিস্তান জানে, বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে চিন কতটা আগ্রাসী। ফলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা আপাতত ইসলামাবাদের প্রধান লক্ষ্য। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কর্তারপুর করিডর তৈরি হলে তা কতটা নিরাপদ থাকবে?‌