শনিবার গভীর রাতে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের চ্যাংরাবান্ধা শ্মশান ঘাটের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে দুই বাংলাদেশি। বিএসএফ সূত্রে খবর, তারা গরু পাচারের উদ্দেশ্যে ভারত ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। গরু পাচারে বাধা পেয়ে পাচারকারীরা দল বেঁধে বিএসএফ জওয়ানদের আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। সেই গুলিতে দু’জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়। মৃত দুজনের নাম মহম্মদ ইউনুস, বাড়ি বাংলাদেশের পাটগ্রাম থানার ডাঙ্গাপাড়ায়। দ্বিতীয় মহম্মদ সাগর, বাড়িও পাটগ্রামে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় পন্থ, ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহিত কোঠিয়াল, কোম্পানি কমান্ডার আর কে শেট্টি, মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত, পুলিশের মেখলিগঞ্জ সার্কেল ইন্সপেক্টর পূরণ রাই, মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সকাল ১১টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর দেহ দুটি বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই সীমান্তে চার কিলোমিটার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত। চ্যাংরাবান্ধা শ্মশানঘাট থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত খোলা সীমান্ত গরু পাচারকারীরা করিডোর হিসাবে ব্যাবহার করে। ধরলা নদী ও জঙ্গল এই সীমান্তকে দূর্গম করে তুলেছে। এর আগেও এই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশী পাচারকারীদের। খোলা সীমান্তে বারবার বিএসএফ জওয়ানদের ওপর আক্রমণ করা হয় বলেই অভিযোগ। এই সীমান্ত বিএসএফের কাছে মাথাব্যাথার কারণ।