সাবধানের মান নেই! কিন্তু তা বলে, করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তাই হাতি দেখার উঁচু টাওয়ারে গিয়ে আশ্রয় নিলেন জলপাইগুড়ির দুই ভাই। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকেই ভিনরাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেছেন রাজ্যে। অমর বাহাদুর রাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেখান থেকে শিলিগুড়িতে ফেরেন। সেখান থেকে দাদাকে ফেরাতে শিলিগুড়িতে যান তাঁর ভাই জিওয়ান। নিজেদের গ্রাম মালিভিটাতে ফেরার পরেই দুই ভাইকে করোনা সতর্কতায় ১৪ দিনের জন্যে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলেন গ্রামের বাসিন্দারা। তখন কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্যে গ্রামের বাইরে থাকা ওই এলিফ্যান্ট ওয়াচটাওয়ারে আশ্রয় নেন তাঁরা।
অমর রাই জানান, পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের লোকজনের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই ওয়াচ টাওয়ারটিতেই দু’সপ্তাহের জন্যে কোয়ারেন্টাইন হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই এখন আমাদের বাড়ি। লকডাউনের জারি হওয়ার পরেই তিনি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাঁর এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, গ্রাম পঞ্চায়েতকে তাঁর গ্রামে ফিরে আসার খবর আগে থেকেই দেওয়া হলেও প্রশাসন কোনও কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থাই করেনি।
বেলাকোবা ফরেস্টের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত জানান, ওয়াচ টাওয়ারটি আসলে হাতির দলেরোপর নজর রাখা এবং আশেপাশের গ্রামগুলিতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের ভয় দেখিয়ে তাড়ানোর জন্যে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এখন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যেহেতু ওয়াচ টাওয়ারটি কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাই আমরা মানবিক কারণে ওই দু’জনকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি।