ইস্যুটা ভারতের। কিন্তু তাতে চিনের সঙ্গে বৈরিতা বাড়ল রানির দেশের। বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাতের জেরে আমেরিকা এই মুহূর্তে ইউরোপে তাদের শিবির শক্ত করতে ব্যস্ত। এই জন্য মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও ইউরোপ সফরে গিয়েই প্রথমে ব্রিটেনে গিয়েছেন। আর লাদাখ সংঘাত নিয়ে আমেরিকা, ফ্রান্সের পর ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও ভারতের পক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার পর ক্ষোভে ফুঁসছে চিন। কিন্তু কিছু করার নেই। যেমন কর্ম তেমন ফল বলছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, হংকং ইস্যুতে এমনিতেই চিনের সঙ্গে সংঘাতের পথে এগিয়েছে ব্রিটেন। হংকংকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই তেঁতো হচ্ছে। ব্রিটেনের বিবিসি’র সম্প্রচারেও বাধা বিপত্তি দিতে দেখা যাচ্ছে চিনে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটেন জানিয়েছে, হংকং এবং ভারতের সীমান্তে চিনের আগ্রাসন গোটা পৃথিবীর কাছে চিনের চ্যালেঞ্জের জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। চিনকে বিশ্বাস করে ঠকতে হয়েছে এই তথ্য ভারত থেকে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের সর্বত্র। তার জেরেই এখন কোণঠাসা করা হচ্ছে চিনকে।
হংকং ইস্যুর পর লাদাখ ইস্যু নিয়ে জনসনের প্রশাসনের দূত (ভারতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত) ফিলিপ বার্টন মুখ খুলতেই তেলে–বেগুনে জ্বলে উঠেছে বেজিং। তাই পাল্টা চিনের পক্ষ থেকে সান ওয়েডং জানান, তাঁরা দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলিতে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো পছন্দ করছে না। আবার দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে রীতিমতো ব্যাকফুটে চিন। যার ক্ষোভ কিছুতেই না উগড়ে ছাড়তে পারছে না বেজিং! আর সেই কারণেই ব্রিটেনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে চিন জাানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে শান্তি বাইরের শক্তি বিঘ্নিত করছে। যা কাম্য নয়।
তারপরই ব্রিটেনও সাফ জানিয়ে দিয়েছে , লাদাখ সংঘাতের মধ্যে ব্রিটেন নেই। আর এই দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে ব্রিটেন এগোতেও চাইছে না। ভারতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত এরপরই চিনকে আরও এক মন্তব্যে তীব্র কটাক্ষ করেন।
ভারতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, চিনের সমস্ত ধরনের গতিবিধি ক্রমেই গোটা বিশ্বের জন্য ত্রাস হয়ে যাচ্ছে। গালওয়ান উপত্যকায় শান্তি রক্ষা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন।