বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনলাইনে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখলেও, উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক শিবির তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি কোথায়? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি? এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা যায় না।’
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আজকের অনুষ্ঠানে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকেন। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, আমন্ত্রণ দেরিতে করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুকে কেন্দ্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ব্রাত্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমাকে অবাক করেছে। রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বললেন বড়দা। তাঁর স্ত্রীর নাম ভুল বললেন। কেন বললেন বুঝতে পারলাম না। বারবার গুজরাতের সম্পর্ক খুঁজতে চেয়েছেন। বিশ্বকবিকে আঞ্চলিক করতে চাইলেন।’
ব্রাত্যর অভিযোগ, স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিলেন না? দুঃখ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ছোট করতে চান, এটা ঠিক নয়। উনি তুকারাম ও কবীরের নাম করেছেন। এঁরা ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরোধিতা করেছিলেন। তা হলে দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে কোনও কথা বললেন না।
