রাজ্য

‘‌মিছিলের নামে বিজেপি বিবেকানন্দর মূর্তি না ভাঙে’‌

স্বামীজির মূর্তি ভাঙার আশঙ্কা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, এক মিছিলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। এবার বিবেকানন্দর জন্মদিবসে মিছিল করতে গিয়ে তাঁর মূর্তি ভাঙতে পারে বলে বিজেপি’‌র দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পুলিশকে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেছেন তিনি। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিবেকানন্দর জন্মদিবসে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি’‌র। কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরও। প্রতি ব্লকে সেই কর্মসূচি হওয়ার কথা। কিন্তু উত্তর কলকাতায় শ্যামবাজার থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত বড় মিছিল করবেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌আমরা তো প্রতি ব্লকে মিছিল করব। প্রতি বছরই করি। হঠাৎ এবার বিজেপি করবে। এতদিন করেনি। ওঁরা সাময়িকভাবে ভাবছে বিবেকানন্দকে নিয়ে যদি কিছু করা যায়। কিন্তু মিছিল যখন হবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে আবার মূর্তি না ভেঙে দেয়।’‌
রামকৃষ্ণ–বিবেকানন্দর বোঝানো হিন্দু ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‌রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ যে আদর্শে মানুষের সেবার কথা বলেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই তুলে ধরেছেন। শিকাগো বক্তৃতার স্মরণে স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল করা হল। কে কী উদ্দেশ্যে সেই কলকাঠি নেড়েছিল? কেন তা বাতিল করা হয়েছিল? রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কাজ করছিলেন বলে এই সিদ্ধান্ত?’‌
মনীষীদের নামে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগও আরও একবার তুলেছেন মন্ত্রী। সম্প্রতি বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বর্ধমানের কাটোয়ায় গিয়ে দাবি করেছিলেন, রাধাকৃষ্ণ জিউয়ের মন্দিরে চৈতন্যদেব এসেছিলেন। মন্ত্রীর কথায়, ওরা সবসময়ই ভুল তথ্য দেয়। কখনও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, কখনও চৈতন্যদেবকে নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, আজ যারা বিবেকানন্দকে নিয়ে অন্য ধর্মের কথা শোনাচ্ছে, রানি রাসমণিকে কৈবর্ত বলে মন্দিরের জমি দিতে চায়নি তাঁদেরই পূর্বপুরুষ। রামকৃষ্ণ একমাত্র বলেছিলেন, মন্দির হবে। পুজো হবে। আমি পুজো করব।