আন্তর্জাতিক

‌চাকরি ছাড়তে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে বেকার বেড়েছে। সেখানে এবার নিজেই চাকরি ছাড়তে চান দেশের প্রধানমন্ত্রী। কারণ তাঁর মাইনে এত কম। এই বেতনে তাঁর চলে না। এটা বুঝতে পেরেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
জানা গিয়েছে, বরিস জনসন বর্তমানে এক লক্ষ ৫০ হাজার ৪০২ পাউন্ড মাসিক বেতন পান। তিনি জানান, এত কম বেতনে একজন প্রধানমন্ত্রীর দিন চলে না। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দিতে চান। অথচ এই বেতনও অনেকে পাচ্ছে না বিশ্বজুড়ে। সেখানে এই বেতনের জন্যই চাকরি ছেড়ে দিতে চান বলায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে খবরের কাগজের কলাম লিখে তিনি সপ্তাহে ২৩ হাজার ইউরো উপার্জন করতেন। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর উপার্জন তুলনামূলক কমে গিয়েছে। করোনা আবহে গোটা বিশ্বের মানুষের বেতন কমেছে না হলে চাকরি চলে গিয়েছে। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দাবি অমূলক বলেই অনেকে মনে করছেন।
আসলে বরিসের ৬জন সন্তান। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন প্রাপ্তবয়স্ক। ফলে বাবা হিসাবে তাঁদের আর্থিক সহায়তা করতে হয় তাঁকে। এছাড়া প্রথম পক্ষের স্ত্রীকেও খোরপোশ দিতে হয়। এত কম বেতনে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি সংবাদপত্র থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড বেতন পেতেন। মাসে দুটি বক্তৃতা দিলে পেতেন এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। সেখানে এটা নিতান্তই কম!‌