সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য শুরু হয়েছে লকডাউন। অথচ তার মধ্যেই রমরমিয়ে চলছে বইমেলা। বাংলাদেশের এই ঘটনায় হতবাক চিকিৎসক মহল। লকডাইনের বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিব্যি মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে বাংলা অ্যাকাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।
লকডাউনের মধ্যেই বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বইমেলা খোলা থাকবে। বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বইমেলা চালু থাকা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখেই বাংলা অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ এই মেলাকে শিল্প–কারখানা খোলা রাখার সঙ্গে তুলনা করছেন।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে সোমবার থেকে চলছে কড়া লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া স্কুল–কলেজ, অফিস, শপিংমল সমস্তটাই বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রবিবার দুপুরে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তার মধ্যেই এত বড় পরিসরে আয়োজিত বইমেলা কীভাবে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়ে আঙুল উঠতে শুরু করেছে।
অনড় বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা অ্যাকাডেমির পরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লকডাউনের মধ্যেও দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।’ বাংলা অ্যাকাডেমির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হতবাক প্রকাশনী সংস্থাগুলিও। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলবে। এবারের মেলায় বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রকাশনী সংস্থার স্টল বসেছে।