জেলা

একদিকে যোগদান অন্যদিকে বোমাবাজি

বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি। রাত আড়াইটে নাগাদ ৬ নম্বর বিজয়নগর এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এদিন বিজেপি’‌র সভামঞ্চে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০০ জন সক্রিয় কর্মী সমর্থক। বিজেপি’‌র এই জনসভা ও যোগদান মেলা অনুষ্ঠিত হয় নদিয়ার চাকদা ব্লকের ঘেঁটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনমালীপাড়ায়। সুতরাং শাসকদলের অভিযোগ এই বোমাবাজি বিজেপি’‌রই কাণ্ড।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার মধ্যরাতে পরপর দু’বার বিকট শব্দ পান নৈহাটি ৬ নম্বর বিজয়নগর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ে রাতে কেউ বের হননি। পুলিশ সিটিসিটি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই জানা যায়, রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ওই এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি করা হয়। পরপর দুটি বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে বিজেপি’‌র। পরিকল্পনামাফিক তারা এই বোমাবাজি করিয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির আর নয় অন্যায়–এর সভামঞ্চে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হাত ধরে ওই বনমালী পাড়া এলাকার ৩০০ জন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, এলাকার ৩০০ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক। চাকদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ সরকার পাল্টা দাবি করেন, যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন না।
উল্লেখ্য, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে শাসক-বিরোধী তরজা ততই বাড়ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তি-সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মারধর, কা্র্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কোথাও আবার বিজেপির উপর হামলায় নাম জড়াচ্ছে শাসকদলকে।