প্রায় ১ মাস বাইকুল্লা জেলে কাটানোর পর অবশেষে জামিন পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। বুধবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বোম্বে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার মাদক মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত রিয়ার জেল হেপাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে দেয়। তার বিরুদ্ধেই বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন রিয়া।
২৯ সেপ্টেম্বর সাত ঘন্টার টানা ম্যারাথন সওয়াল–জবাবের পর রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন স্থগিত রাখে বোম্বে হাইকোর্ট। সকাল ১১টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে তা চলে সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। জাস্টিস এসপি কোটওয়াল বেঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলে। রিয়া ও শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়াও এদিন স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত এবং আবদুল বাসিত পরিহারের জামিনের শুনানিও হয় বোম্বে হাইকোর্টে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক কাণ্ডে গত ৯ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। তাঁর ১৪ দিনের জেল হয়। রিয়া জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রিয়ার জেল হেপাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় আবেদন করে এনসিবি। ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর আরও ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেপাজত মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার তা শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে এনসিবি। তা মঞ্জুর করে বিশেষ আদালত। বিশেষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধেই বোম্বে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন রিয়া।
রায় ঘোষণার পর রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মণিশিন্ডে বলেন, ‘রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মহামান্য বোম্বে হাইকোর্ট নিয়েছে, তাতে আমরা খুবই খুশি। সত্য এবং ন্যায়ের জয় হয়েছে। এই মামলায় আমাদের পক্ষ থেকে পেশ করা সব নথি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি সারাং ভি কোটওয়াল। রিয়া চক্রবর্তীকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’
গত ১৪ জুন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই মাদক–যোগও সামনে আসে। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই বিষয়টি সামনে আসে বলে জানা যায়। তা নিয়ে তদন্তে নামে এনসিবি। রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, রাকুল প্রীত এবং শ্রদ্ধা কাপুরকেও।
