জেলা

ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে তাজা বোমা

ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা সত্বেও বুধবার রাত থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এক সিপিএম কর্মীর বাড়ি থেকে গুলি, ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায় তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্লাস্টিকের বলের মতো দেখতে বোমাগুলি খুবই শক্তিশালী বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি। মূলত বাংলাদেশেই তৈরি হয় এই ধরনের বোমা। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে, বৈষ্ণবনগরের আকন্দবাড়িয়ায় বোমাগুলি মিলেছে। সংখ্যায় তা ২৫ থেকে ৩০টি হবে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। এতগুলি বোমা একসঙ্গে দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বলের আকারের বোমাগুলি তৈরি করা হয়েছে।
কারা এই বোমাগুলি মজুত করেছিল বা তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। নির্বাচনের সময় এলাকা উত্তপ্ত করতেই বোমা মজুত করছিল বিজেপি। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবিরের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নির্বাচনী আবহে সন্ত্রাসের জন্যই বোমা কিংবা ধারালো অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল রাজ্যের দুই প্রান্তে।