বোমা উদ্ধার হল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রবিবার এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বোমার ওজন ২৫০ কেজি। বোমাটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে এই নিয়ে মোট তিনটি বোমা উদ্ধার করা হল। এখনও আরও বোমা আছে বলে আশঙ্কা করছেন বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর ইসলাম জানান, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয় দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। বোমাটি ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৯ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে সিলিন্ডারের মতো দেখতে বোমা উদ্ধার করা হয়। মাটি খোঁড়ার সময় ২৫০ কেজি ওজনের এই বোমাটি উদ্ধার করা হয়।
এদিন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের পাইলিংয়ের সময় শ্রমিকরা মাটির প্রায় ৩ মিটার গভীরে সিলিন্ডারের মতো বোমাটি দেখতে পান। পরে সেটিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনের টেলকি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (ফায়ারিং রেঞ্জ) ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিজয় দিবসের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আবার ২৫০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা পাওয়া যায়। বিমানবন্দরে তৃতীয় পাইলিংয়ের কাজ করতে গিয়ে এবারও শ্রমিকরা ১০ ফুট মাটির নিচে একই ধরনের বোমার সন্ধানপান। উল্লেখ্য, এর আগেও দুটি বোমা উদ্ধার করে এগুলি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বাহিনী ফেলেছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। নতুন বোমা উদ্ধারের পর সেই তথ্যই ফের সামনে এসেছে।
