ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

আন্দোলনকারীদের ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

হকের চাকরির দাবিতে সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনে লড়ছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। একদিকে যখন আন্দোলনকারীরা চাকরির দাবি জানিয়ে পথে আমরণ অনশন করছেন উল্টোদিকে তখন প্রাথমিকের এই চাকরি প্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

আন্দোলনের জেরে অফিসে ঢুকতে পারছেন না কর্মীরা। যার ফলে কোনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না অভিযোগ পর্ষদের। পাশাপাশি বোর্ডের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছে বোর্ড। যদিও, শুনানির আর্জি খারিজ করেছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

এ দিন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “এত দ্রত শুনানির কী আছে? এতদিন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে এমন কি অসুবিধা হবে?” এরপরই পর্ষদের করা দ্রুত শুনানির আর্জি বাতিল করে দেন তিনি। মামলা করে আসারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পুলিশের বারবার বলা সত্ত্বেও অবস্থান তুলতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। ধস্তাধস্তির মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এদিন সকালেও কিন্তু করুণাময়ীতে পরিস্থিতি একই আছে। চাকরির দাবিতে নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও নড়তে নারাজ তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশের কথায়, টেট জটে তাঁদের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। ফলে নতুন করে চাকরির সুযোগ তাঁদের কাছে নেই বললেই চলে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দেন, নিয়ম ভেঙে তাঁদের নিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, “এরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।” তারপরেও আন্দোলন তোলেননি চাকরিপ্রার্থীরা।