রাজ্য

অবহেলায় মৃত্যু ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরীর

সরকারি হাসাপাতাল কতটা নিরাপদ?‌ আজ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে মৃত্যু হল ১৩ বছরের এক কিশোরীর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। এখানে প্রশ্ন উঠছে, ন্যূনতম যত্ন নিতে না পারলে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে লাভ কী?‌ সোদপুরের মহিষপোতার বাসিন্দা ওই কিশোরী ফাল্গুনী দেবনাথ (১৩) ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে।
ফাল্গুনীর মা ওয়ার্ডে মেয়ের সঙ্গেই ছিলেন। সকালে মা বাথরুমে যান। সেখান থেকেই মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখেন মেয়ে বেড থেকে মেঝেতে পড়ে আছে। অভিযোগ, এরপর মেয়েকে কোলে নিয়েই বসেছিলেন মা। সময় পেরিয়ে যায়। শত ডাকাডাকিতেও আসেননি একজন চিকিৎসক। চার ঘণ্টা পর মায়ের কোলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর!‌ মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটলেও হাসপাতালের কোনও হেলদোল নেই। কীভাবে চিকিৎসাধীন একটি মেয়ে বেড থেকে পড়ে গেল?‌ কেন তখন আশপাশে কোনও নার্স ছিলেন না?‌ উঠছে প্রশ্ন।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘‌আমার মেয়েকে ওরা চিকিৎসা না দিয়েই মেরে ফেলল। মেয়ে পড়ে যাওয়ার পর আমি দৌড়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুকে ডাকি। উনি জানান রাউন্ডে আছি, পরে আসছি। কিন্তু তিন ঘণ্টা মেয়েটা পড়ে থাকলেও কেউ আসেনি।’‌
ফাল্গুনীর ওয়ার্ডের চিকিৎসকের পাল্টা দাবি, রক্তের ক্যানসারে ভুগছিল মেয়েটি। হাসপাতালে ভর্তি করার সময় থেকেই সে সংকটজনক ছিল। পরিবারকে বলা হয়েছিল দুই ইউনিট রক্ত লাগবে। কিন্তু তাঁরা সে রক্ত জোগাড় করেননি। ফাল্গুনী বেড থেকে পড়ে যাওয়ার পর লগবুকে সিটি স্ক্যানের উল্লেখ করে দেওয়া হয়। মাথার কোথায় চোট লেগেছে তা সিটি স্ক্যান না করলে জানা অসম্ভব।