ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে পুলিশ সন্ত্রাস চালানোর প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি। বুধবার বন্ধ সফল করতে সকাল থেকেই পথে নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। রাজ্যব্যাপী এই বনধে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় সাড়া পড়েছে। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ল রেল পরিষেবায়। দিকে দিকে রেল অবরোধ করছেন বিজেপি সমর্থকেরা। সকাল থেকেই শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। বনগাঁ, ব্যারাকপুরে রেল অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। ব্যাপক ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা।
বনধ সফল করতে বনগাঁ, বারাসাতে ট্রেন অবরোধ করে রাখে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বারাসাত স্টেশনে বিবাদ শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের। শাসক দলের দাবি কোনওভাবেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। এদিকে বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বেয়ে উঠে পড়েন, যাতে ট্রেন চলতে না পারে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বাংলা বনধের জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষীকান্তপুর লাইনে। গোচরণ স্টেশনের আপ লাইনে রেলের ওভারহেড তারে কলাপাতা দেওয়ার কারণে আপ ট্রেন চলাচল বন্ধ। দক্ষিণ বারাসাত,গোচরণ, ধপধপি সহ বিভিন্ন স্টেশনে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে।
সোনারপুরেও রেল লাইনের উপর শুয়ে ট্রেন অবরোধ বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ধস্তাধস্তিও হয়। ঘটনায় গ্রেফতার কমপক্ষে ১৫ বিজেপি নেতা কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা।
মুর্শিদাবাদেও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। প্রথমে জিয়াগঞ্জ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন্ধ সমর্থকেরা। ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস আটকে দেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ মুর্শিদাবাদ স্টেশনে ওই ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ আসলে অবরোধকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি লেগে যায়। শেষে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে ভাগীরথী এক্সপ্রেসকে মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে রওনা করানো হয়। তবে বহরমপুর স্টেশনে ওই এক্সপ্রেসকে আটকান বন্ধ সমর্থকেরা।