সবে হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। তার মধ্যেই গোঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম গণেশ রায়। এই বিজেপি কর্মীর বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে একটি গাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, তৃণমূল গণেশ রায়কে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহটি উদ্ধার করা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে গণেশ রায়কে। শাসকদলের লোকজনই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃমমূলের দাবি, বিজেপি লাশের রাজনীতি করছে।
পুলিশের কাছে দেওয়া পরিবারের জবানবন্দি, শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গণেশ রায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। রবিবার ভোরবেলায় বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে গোঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শাসকদলের পক্ষ থেকে একাধিকবার হুমকির অভিযোগ আসে। গণেশের ছেলের দাবি, বাবাকে তৃণমূলের লোকেরাই মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি’র আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি চেয়ে আরামবাগে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই বাড়ির অদূরে ঠিক একইভাবে উদ্ধার হয়েছিল হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ।