দেশ লিড নিউজ

বেতন পাচ্ছেন না বিজেপির বিস্তারকরা

বুথ থেকে জেলার নীচুস্তরে তাঁরাই ছিলেন পার্টির চোখ এবং কান। তাঁদের কাঁধে ভর দিয়ে ২০১৯ লোকসভায় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই বিস্তারকরাই এখন গেরুয়া শিবিরের কাছে ব্রাত্য। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর বিস্তারকদের উপর ব্যাপক হামলা–অত্যাচার চললেও, দলীয় নেতারা ফিরেও তাকাননি বলে অভিযোগ। এমনকী তাদের ‘বেতন’ বাবদ প্রাপ্য টাকা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে ২৭৪ জন বিধানসভার বিস্তারক এবং আটজন জোন বিস্তারকের বকেয়া বাবদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আটকে রেখেছে পার্টি।
কী এই বিস্তারক যোজনা? রাজ্যজুড়ে বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে কমবয়সি যুবকদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তাদেরই নাম বিস্তারক। যাদের কাজ ছিল, এলাকায় এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা, বিজেপির কমিটি গঠন এবং সংগঠন মজবুত বানানো। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক পর্বে ২৯৪টি আসনের জন্য বিস্তারক বাছাই করে তাদের উপর একটি করে বিধানসভার ভার দেওয়া হয়েছিল। প্রতি মাসে তাদের থাকা–খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও বরাদ্দ করেছিল বিজেপি। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র পাঁচ মাস আগে বিস্তারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই নিয়োগ ছিল বিধানসভা ভিত্তিক। প্রতিটি বিধানসভার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে চলে আসেন তিন থেকে চারজন কেন্দ্রীয় নেতাও। তাঁরা এই বিস্তারকদের কার্যত ‘চাকর’ মনে করতেন। দলীয় বৈঠকে বিস্তারকদের দিয়ে চা, খাবার আনানো হতো। ফলে দলের হয়ে কাজই করতে পারেননি তারা।
নির্বাচনের পর পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিস্তারক বলেন, ‘ভোটের পর থেকে আমার এবং পরিবারের উপর হামলা হচ্ছে। আর পার্টির নেতারা চুপ করে আছেন। খুব দরিদ্র পরিবার থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করতে এসেছি। সামান্য সান্মানিক, সেটাও আটকে রেখেছে পার্টি। এই দুর্দিনে কোনও নেতাই ফোন ধরছেন না।’