দ্বিতীয় দফার ভোট ঘিরে অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম উদয়শংকর দোবে। তিনি বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। দাদপুর গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। বুধবার রাতে উত্তম দোলই নামে তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কেশপুর হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ভোররাত ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যাচ্ছে।
উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাও। তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। ঘটনাটি ঘটে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা বিধানসভার আমতলি অঞ্চলে ১১১ বুথে। আহত বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। নন্দীগ্রামের ২৪৭, ২৪৮ নং বুথে ভোটারদের হুমকি ও ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এবার হিংসা রুখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মুখে পুলিশ–প্রশাসনে একঝাঁক বদল করা হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ।
