রাজ্য

বাড়ির দরজায় বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ!

বিজেপি কর্মীর মৃত্যু স্বাভাবিক। কেশিয়ারির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিল প্রশাসন। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই দিকে দিকে অশান্তি শুরু হয়েছে। বান্দোয়ানে বুথ ফেরত ভোটের গাড়িতে যেমন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল, তেমনি পটাশপুর, এগরায় রাতভর চলল বোমাবাজি। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে। নিজের বাড়ির দরজাতে মিলল এক বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও মঙ্গল সোরেন নামে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু স্বাভাবিক কারণেই ঘটেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বেগমপুর এলাকায় বিজেপির পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। এরপরই কেশিয়াড়িতে উত্তেজনার মাঝেই আজ সকালে রুট মার্চ করছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি মৃত্যু। ভোটের দিন সকালেই নিজের বাড়িতেই ওই বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও নিহত ব্যক্তির পরিবার দাবি করেছে, সে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না। তবে গেরুয়া শিবিরের দাবি, নিহত ব্যক্তি বিজেপির সমর্থক।
আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনিতে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। এর আগে শালবনি বিধানসভার গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের ২০টি বুথে সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও সুশান্ত ঘোষের সেই দাবিও অস্বীকার করেছে শাসক দল।