শুরুতেই চালিয়ে খেললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে রীতিমতো দাবি করে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, বাংলায় পরবর্তী সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি।’ তিনি জানান, গরীবের জন্য মোদীজি ৬ হাজার টাকা প্রতি বছর দেয়। এটা পৌঁছতে দিন। স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা, শৌচালয়ের সুবিধা পৌঁছতে দিন। বাংলায় বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর দমন নীতি চালাচ্ছে মমতা সরকার। আমি নিশ্চিতভাবে দেখতে পাচ্ছি মমতা সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে। আমরা এখানে দুই–তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে বিজেপি সরকার গড়ব।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে আকাশপথে বাঁকুড়ায় পৌঁছন অমিত শাহ। প্রথমেই তিনি মালদান করেন বিরসা মুণ্ডার মূর্তিতে। সেখানে তিনি জানান, বিরসা মুণ্ডাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা সফর শুরু করলাম। গতকাল রাত থেকে বাংলার যেখানে যেখানে ছিলাম সব জায়গায় মানুষের উৎসাহ দেখেছি। প্রচুর অভ্যর্থনা পেয়েছি। এটা থেকেই স্পষ্ট, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সাংঘাতিক আক্রোশ তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে দিচ্ছে না মমতার সরকার।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, বিজেপি সরকার এলে কর্মসংস্থান হবে। বেকার যুবক–যুবতীরা চাকরি পাবে। তাই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারকে ছুঁড়ে ফেলুন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা তৈরি হবে। বাংলায় পরিবর্তন আসছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিবর্তন চায়। মমতার সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। মোদীজির নেতৃত্বে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে। আমি দেখতে পাচ্ছি, পরিবর্তনের আশা জ্বলজ্বল করছে এখানকার মানুষের চোখে। তা একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই সম্ভব।
তাঁর কথায়, কৃষকদের কাছে সুবিধা পৌঁছচ্ছে না। বিজেপিকে একটা সুযোগ দিন, সোনার বাংলা গড়ে দেব। তবে এবার অমিত শাহের ঘোষিত কর্মসূচি হল, বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার লক্ষ্যে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করা।
