দেশ লিড নিউজ

‘‌বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি’‌

পশ্চিমবঙ্গ দখল এখন তাঁদের পাখির চোখ। তাই অধৈর্য্য হয়ে পড়ছেন বিজেপি মন্ত্রী–সাংসদ থেকে রাজ্যের নেতারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। আর তাঁদের দাবি সঙ্গত বলে মনে করেন অমিত শাহ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‌বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারির যে দাবি করছেন, তা অসঙ্গত নয়।’‌ এই মন্তব্য অধৈর্য্যের ফলশ্রুতি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুধু তাই নয়, অমিত শাহ হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, ‘২০২১ সালে বাংলায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বিজেপিই সরকার গড়বে।’ তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পালটা দিয়েছে তৃনমূলও। রাজ্যের শাসকদল বলছে, ‘আগে উত্তরপ্রদেশে নজর দিন। তারপর বাংলার কথা ভাবতে আসবেন।’‌ অমিত শাহের দাবি, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আমফান ঝড়ের পর অনুদান নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাঠানো আনাজপাতিও পৌঁছয়নি। করোনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। দুর্নীতি চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বাংলায় আইনের শাসন নেই। জেলায় জেলায় বোমা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিরোধীদের হত্যা ও মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। ভারতের আর কোনও রাজ্যে এমনটা নেই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর বাংলায় পরিবর্তন আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপিই বাংলায় সরকার গড়বে। তবে এখন তৃণমূলকে হঠানোই অগ্রাধিকার। বাংলায় গুরুতর পরিস্থিতি। বিজেপি নেতৃত্ব রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ন্যায়সঙ্গত। তবে ভারত সরকার রাজ্যপালের সুপারিশ মেনে সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’‌
এই আক্রমণের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’‌ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘‌প্রথমেই বলি অমিত শাহজির স্বাস্থ্য নিয়ে বহু গুজব ছড়িয়েছে। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আসলে বিজেপি রাজ্যে রাজনৈতিক খুনের সংখ্যাটা বেশি করে দেখানোর জন্য এখন টিবি বা ক্যানসারে মৃত্যু হলেও রাজনৈতিক খুন বলে দাবি করছে। ওঁর উচিত বামেদের আমলে রাজ্যের ইতিহাস খতিয়ে দেখা। তাহলেই বুঝে যাবেন বাংলা কতদূর এগিয়েছে।’‌