বুধবার শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে কথা হয়েও গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের সঙ্গে। কিন্তু ওই দিনই দেশজুড়ে ধর্ণায় বসতে চলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ৯ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যে এসেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ রাতে তিনি শহরেই থাকবেন। রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর ভাঙচুর করা হয়েছে পার্টি অফিসও। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইট, ‘নন্দীগ্রামের কেন্দামাড়ি গ্রামে বিজেপি মহিলা কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বদলে তাদের উপর এভাবে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের আসল পরিবর্তন না করে এটাই কি সাধারণ মানুষের পাওনা?’
বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তর অভিযোগ, ‘বীরভূমের নানুরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। মহিলাদের শ্লীলতাহানির খবরও এসেছে। অমিত শাহ দয়া করে ওই এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।’ বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই বাংলায় হিংসার প্রতিবাদে গোটা দেশে কোভিড বিধি মেনে ধর্ণা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর বক্তব্য, ‘ফলপ্রকাশের পর ট্রোলারদের ছুটি দিতে পারত বিজেপির আইটি সেল। প্রতিটি ঘটনাই দলের অন্তর্কলহ। বাংলায় বিজেপির তিনটি দল রয়েছে। পরস্পরকে তারা ঘৃণা করে। গত চার মাস ধরে মো–শা এখানে এসে ঘৃণা ছড়িয়েছে। শান্তি ও সম্প্রীতি চায় বাংলা। বিভাজন চায় বিজেপি।’
