রাত পোহালেই বিজেপি’র নবান্ন অভিযান। বিজেপি’র সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কথা অনুযায়ী, এই নবান্ন অভিযান হবে গেরিলা কায়দায়। তা ঠেকাতে পারবে না প্রশাসন। টলে যাবে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ থাকবে নবান্ন বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিজেপি’র নবান্ন অভিযান। সেদিনই সচিবালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বিজেপি’র যুব মোর্চার নতুন সভাপতি তেজস্বী সূর্যের। তিনি সারা ভারতের বিজেপি’র যুব সভাপতি। তাঁর রাস্তায় থাকার কথা। হাওড়ায় নেমে সোজা মিছিল নিয়ে নবান্ন যাওয়ার কথা। তাই বিরাট করে যে প্রতিবাদ–আন্দোলন আছড়ে পড়ার কথা কলকাতা তথা রাজ্যে তা কতটা হবে সেটা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
এদিকে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ থাকবে নবান্ন এবং রাইটার্স। রুটিন স্যানিটাইজেশনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বিধি মেনে সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীদের ওই দু’দিন না আসার অনুরোধ করা হচ্ছে। সুতরাং এটা বিজেপি ভীতি নাকি মমতার মাস্টারস্ট্রোক তা রাত পোহালেই বোঝা যাবে।
এই আন্দোলনের রূপরেখা আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। সুতরাং সেটা জানতে পেরেই এই চাল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতি সপ্তাহে শনিবার রুটিন জীবাণুনাশের প্রক্রিয়া চলে নবান্নে। এবার বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার স্যানিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রধানই যদি সচিবালয়ে না থাকে তাহলে বিজেপি কাকে এবং কী ঘেরাও করবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এখন মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফর নিয়ে ব্যস্ত। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাদের ভয়েই নবান্ন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।