জেলা

নবান্ন বন্ধ, তাণ্ডব মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে

আজ নবান্ন বন্ধ আছে। কিন্তু তারপরও বিজেপি’‌র নবান্ন অভিযান চলছে। সুনসান নবান্নের দিকেই কলকাতা এবং হাওড়া থেকে বিজেপি’‌র চারটি মিছিল এগিয়ে চলেছে। কিন্তু নবান্নে তো স্যাননিটাইজেশনের কাজ চলছে। তাহলে এই অভিযানের যৌক্তিকতা কোথায়?‌ উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি’‌র নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে চড়ছে উত্তেজনার পারদও। কারণ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি’‌র মহিলা মোর্চারার নেত্রীরা। জয় শ্রী রাম স্লোগানও দিচ্ছে তারা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধরপাকড় শুরু হয়েছে পুলিশের। এদিন পুলিশকেই টার্গেট করে নেওয়া হযেছে।
তবে এই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে নেমে শক্তিপ্রদর্শনও করছে তাঁরা। ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে রাস্তা অবরোধ করেছে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। ধুলাগড়ে পুলিশ বিজেপি’‌র বাস আটকাতেই কর্মী–সমর্থকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। তাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। সেনারপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ভাঙচুর করে তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি করে তাঁরা। তারপর কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে চিৎকার করে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয়।
বিজেপি ‌যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের সঙ্গে পা মেলান সৌমিত্র খান, নিশীথ প্রামাণিক–সহ আরও অনেক হেভিওয়েট নেতা। এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তেজস্বী বলেন, ‘‌মমতা দিদি ভয় পেয়েছেন, এই ভয়টা ভাল।’‌ শিল্প, কর্মসংস্থান, আইনশৃঙ্খলা–সহ একাধিক দাবিতে বিজেপি’‌র যুব মোর্চার এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। যার সঙ্গে যোগ হয়েছে টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার ইস্যুও। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। বেলা যত গড়াচ্ছে, বিজেপি’‌র নবান্ন অভিযানের পারদ তত চড়ছে। কড়া নিরাপত্তা মোড়ে মোড়ে। রাস্তায় গার্ডওয়াল পুলিশের। পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি মোতায়েন র‌্যাফও।