বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে দু’দিন হল। তার মধ্যে বিজেপির দুয়ারে আক্রমণ নেমে এসেছে বলে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ। আক্রমণ এমন স্তরে নেমে এসেছে যে, রাজ্যপালের কাছে ছুটতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্টে চেয়ে পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপালকে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। এই টালমাটাল অবস্থায় যেখানে সুর নরম করা উচিত সেখানে বিজেপি সাংসদ হুমকি দিয়ে বসলেন।
ঠিক কী হয়েছে? বিজেপি সাংসদ পরভেশ সাহিব সিংহের হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় নির্বাচনে জিতেই তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কর্মীদের খুন করছে। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খেয়াল রাখবেন, তৃণমূলের সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়কদের কিন্তু দিল্লি আসতে হবে। আমি আপনাদের সতর্ক করছি। নির্বাচনে হার-জিত হতে পারে কিন্তু খুন নয়।’ এই ট্যুইট বিজেপি সাংসদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁদের বহু কর্মী খুন হয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে বুধবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার, দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর কয়েকটি জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসতে শুরু করে। নদিয়ার গাংনাপুর, কোচবিহারের সিতাই এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। পূর্ব বর্ধমানের রায়না ও হুগলির খানাকুলে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের দুই নেতা–কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মী ও এক বিজেপি সমর্থকের।
যদিও, ভোট-পরবর্তী হিংসা বন্ধ করতে উদ্যোগী হন মমতা। সকলকে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ভোটে হার–জিত আছে। কিন্তু শান্ত থাকুন। শান্তি বজায় রাখুন। কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশকে জানান। পুলিশকেও বলব নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন।’
