দেশ ব্রেকিং নিউজ

কৃষকদের ফাঁসি চাইলেন বিধায়ক

প্রজাতন্ত্র দিবসে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে দেশ। লালকেল্লায় তাণ্ডব ও কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসা নিয়ে সরব অনেকেই। প্রশ্নের মুখে কৃষক নেতাদের ভূমিকাও। কারণ জাতীয় পতাকার জায়গায় লাগানো হয়েছিল ধর্মীয় পতাকা। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার যে নেতারা এই হিংসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জর। তাঁর আরও দাবি, দিল্লি সীমান্তে যাঁরা হিংসার সঙ্গে জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করে পুলিশকে ‘শ্যুট অ্যাট সাইটে’র নির্দেশ দেওয়া হোক।
বিজেপির বহু নেতাই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদেরই অন্যতম গুর্জর। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করে কৃষক নেতাদের ফাঁসির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তেতে উঠেছে কৃষক শিবির। আবার তাঁরা নয়া আন্দোলনের পথ ভাবতে শুরু করেছে। এই মন্তব্য কৃষক আন্দোলনে ঘৃতাহুতির কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই বিজেপি দাবি করে এসেছে, এই আন্দোলন কৃষি আইনের প্রতিবাদে নয়। এমনকী, কৃষকরাও এর প্রধান চালিকা শক্তি নন। খলিস্তানি সংগঠনগুলি এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহে উসকানি দিচ্ছে। সেই দাবিই নতুন করে জোরাল হয়ে উঠেছে সাধারণতন্ত্র দিবসে হিংসার পরে। বিজেপির আইটি শাখার প্রধান অমিত মালব্যের দাবি, ওইদিনের ঘটনা নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছাড়া কিছু নয়।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তবের দাবি, কৃষক নেতারা ট্র্যাক্টর মিছিলে হওয়া হিংসার সঙ্গে জড়িত। কৃষক সংগঠনগুলি মিছিলের নিয়ম মেনে চলেনি। দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই মিছিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাও মানা হয়নি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৫০ জনকে।