রাজ্য

গভীর রাতে শোভনের বাড়িতে বিজেপি নেতারা

ঘরের ছেলে কী ঘরে ফিরছে?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূলে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয় সোমবার। আর মধ্যরাতেই অরবিন্দ মেননের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়া। এই পর পর ঘটে যাওয়া ঘটনা দুটোর পেছনে অন্য কোনও সমীকরণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে কি তৃণমূলে ফিরছেন নেত্রীর কাছের কানন? উঠছে প্রশ্ন।
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বর্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দেখভালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে তৃণমূল। এই খবর বিভিন্ন প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসল বিজেপি। তাই রাতেই শোভনের বাড়িতে গেলেন বিজেপি’‌র শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যান বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন ও এই রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে ১১টার ঘর পেরিয়ে গিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত দু’‌পক্ষের আলোচনা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকেই কি আটকে যাবে শোভনের ঘর ওয়াপসি? নাকি অন্য কোনও সমীকরণ আছে?‌ প্রশ্ন উঠছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, আড়াই ঘণ্টার উপর বৈঠক সেরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমেই অবশ্য সে প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি অরবিন্দ মেনন। পরে তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আড়াই ঘণ্টার উপর কথা হল। খুব দ্রুত দেখতে পাবেন কী হতে চলেছে। বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে শোভনের। রাজ্যে দলের কোনও কর্মসূচিতেও তাঁকে প্রায় দেখাই যায় না। অনেক সময়ই বিজেপি’‌র কেন্দ্রীয় নেতারা হস্তক্ষেপ করেছেন বটে, তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। গত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ভাইফোঁটা নিতে শোভন সটান চলে গিয়েছিলেন কালীঘাটে। সে ঘটনাও সবাই দেখেছে। এখন দেখার কাননে পদ্ম, নাকি ঘাসফুলে।