২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন কী রক্তাক্ত হবে? বাংলার মানুষ কী রক্তাক্ত নির্বাচনের সাক্ষী থাকবে? এইসব প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই অস্ত্র ব্যবসা নির্বাচনে কাজে লাগবে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি। এগুলি কোন কাজে লাগানো হতো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিজেপি নেতা বসিরহাটে বেশ প্রভাবশালী বলেই পরিচিত। সম্প্রতি বসিরহাটের ময়লাখোলা এলাকা থেকে ৪টি পিস্তল এবং ২ রাউন্ড গুলি–সহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি এগুলি মজুত করা হচ্ছিল। যা পরে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল। সীমান্ত থেকে পাচার হয়ে এই অস্ত্র গ্রামে গ্রামে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পেট্রাপোল বর্ডার হয়ে তা বনগাঁ, বসিরহাট, হাবরা এবং গোবরডাঙার প্রত্যন্ত এলাকায় তা চলে যাচ্ছিল বলে খবর।
পুলিশ গোপন সূত্র ধরে বসিরহাট মহকুমার বিজেপি’র অফিস সচিব বাপিন দাসকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে। বসিরহাটের ঘড়িবাড়িতে বাড়ি ৩৫ বছরের ওই বিজেপি নেতার। কান টানলে মাথা আসবে বলে মনে করছে জেলা পুলিশ। তাই এখন তাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত অস্ত্র ব্যবসায়ীর সূত্র ধরেই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। এখন তার কাছ থেকেই পুরো বিষয়টি জানতে চায় পুলিশ।
এই চক্রটি ভিন রাজ্য ও উত্তর ২৪ পরগনা বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে এসে মূলত এলাকায় দুষ্কৃতীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে এই ব্যবসায়ীর যোগসূত্র আছে কিনা তা ফোন কললিস্ট ঘেঁটে দেখতে চায় পুলিশ। এমনকী এই অস্ত্র কলকাতায় আসত কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।
