ফের মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপি। প্রেস্টিজ ফাইটে নিজেদের জয়ী বলে একপ্রকার ঘোষণাই করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ২৮টি বিধানসভা আসন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এই আসনগুলির ফলাফলের ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করছে।
এদিকে ১১টি রাজ্যে ৫৮টি কেন্দ্রে চলছে বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগণনা। মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকে বিজেপিরই জয়জয়কার। শিবরাজ সিং চৌহানের কথায়, মানুষ মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব বিজেপি’র হাতেই তুলে দিতে চায়, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। হার স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেসের কমলনাথও। তিনি বলেন, ‘জনগণের রায় মেনে নিলাম। ভোটারদের ধন্যবাদ।’
এই নির্বাচন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছেও মর্যাদার ব্যাপার। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্যর ম্যাজিকই এখন দেখার। এই ২৮টা আসনের বেশিরভাগ আসনেই যদি বিজেপি জিতে যায় তা হলে ক্ষমতায় তারাই থেকে যাবে। মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচন চ্যালেঞ্জ ছিল শিবরাজ সিং চৌহানের কাছেও। সেই চ্যালেঞ্জে কংগ্রেসকে কাত করতে পেরেছেন তিনি। ২৮টি আসনের মধ্যে মোদী–শাহের দল এগিয়ে ১৯টি আসনে। ৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। ১টিতে বহুজন সমাজ পার্টি।
উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত–সহ বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনগুলির ফলেও বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থেকে স্বস্তির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। গুজরাটে বিধানসভার উপনির্বাচনে ৮টি আসনের মধ্যে ৮টিতেই এগিয়ে বিজেপি। কর্ণাটকেও একই হাল। ২টি আসনের মধ্যে দুটিতেই এগিয়ে বিজেপি। তেলঙ্গানায় ১টি আসনের মধ্যে ১টি এগিয়ে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে ৭টি আসনের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে বিজেপি। মণিপুরে উপনির্বাচনে ৫টি আসনের মধ্যে ২টি জিতে গিয়েছে বিজেপি। দুটিতে তারা এগিয়ে। ঝাড়খণ্ডে একটি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ১টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে। বিহারে ও সব উপনির্বাচনে বিজেপি জিতবে।’
