সায়ন্তন বসুর পর এবার অগ্নিমিত্রা পালকে শো–কজ নোটিস পাঠাল বিজেপি। কারণ তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী। সাতদিনের মধ্যে তাঁর জবাব চাওয়া হয়েছে বলেই খবর। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি অগ্নিমিত্রাকে চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দল এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই সমর্থন করে না। এটি দলের অবস্থানবিরোধী। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশেই তাঁকে শো–কজ করা হচ্ছে।
জিতেন্দ্রর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে অগ্নিমিত্রা মিত্র, সায়ন্তন বসু প্রত্যেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিজেপি’র মহিলা মোর্চার নেতা অগ্নিমিত্রা পাল বলেছিলেন, ‘শুভেন্দুবাবু এলে তাঁকে স্বাগত। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আসানসোলের মানুষই পছন্দ করেন না।’ তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছিল, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে যোগ দিলে তা খুব একটা ভালভাবে নেবেন না তিনি। কার্যত একই মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন বসুও। মন থেকে সায় নেই বলেই জানিয়েছিলেন বাবুল।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? বাবুলকে শো–কজ কেন করা হল না? ওই দিন জিতেন্দ্রকে নিয়ে কটাক্ষের সুরে অগ্নিমিত্রা বলেন, আসানসোলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির ভাবমূর্তি ভাল নয়। তাঁকে বিজেপিতে নিলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। একইদিনে একই কথা বলেছিলেন বাবুলও। তাহলে তাঁকে ছাড় কেন?
এই টালবাহানা পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান জিতেন্দ্র। তিনি জানান, ‘দিদিকে দুঃখ দেওয়া উচিত হয়নি।’ দলকে অনুরোধ করেন, তাঁর পদত্যাগপত্র যাতে গ্রহণ না করা হয়। এরপরই জিতেন্দ্র বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সায়ন্তনকে শো–কজ করে বিজেপি। এবার শো–কজ করা হল অগ্নিমিত্রা পলকে।
দলীয় সূত্রে খবর, বাবুল পরবর্তীকালে দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। আর অগ্নিমিত্রা, সায়ন্তনরা তা করেননি। তাই তাঁদের শো–কজ করা হয়েছে। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।