কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেছিলেন তৃণমূল বিধায়করা। এরপরই বিজেপির অভিযোগ, ওই ধর্না থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করা হয়েছে। এই ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়, শিখা চট্টোপাধ্যায়। ৬০ জনের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় FIR দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে দুই বিজেপি বিধায়কের তরফে। অভিযোগ, ওইদিন উস্কানি দেওয়ার কাজ করেছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই পৃথক দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মালতী দেবীর অভিযোগ পত্রে গত ৩০ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর শিখা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ পত্রে ২৯ তারিখ উল্লেখ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, বেচারাম মান্না, অসীমা পাত্র এবং বীরবাহা হাঁসদারা কাজ করেছেন বলেছেন বলে অভিযোগ ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়কের। প্রধানমন্ত্রীকে চোর বলা হয়েছে, বিজেপিকে চোর বলা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বিজেপির অভিযোগ, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টি জানলেও অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এদিকে, তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগ পত্রে নাম ছিল আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলারের। অন্যদিকে, বিজেপির করা অভিযোগেও নাম রয়েছে সুমন কাঞ্জিলালের। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক টুইটও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি লিখেছেন, “চাঁদের দিকে থুতু দিলে নিজের মুখেই পড়ে। এই ব্যবহারের জন্য এক দিন পস্তাতে হবে। শুধু সেই দিনের অপেক্ষা। তৃণমূলের চোররা এই কাজ করেছেন। তবে মমতার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেবে না। পদক্ষেপ করবে না।”