দেশ লিড নিউজ

রণক্ষেত্র ত্রিপুরায় ভূলুন্ঠিত লাল নিশান

রাজনৈতিক হিংসায় রণক্ষেত্র ত্রিপুরা। সিপিএম–বিজেপি সংঘর্ষের জেরে অগ্নিসংযোগ হলো দলীয় কার্যালয়। ভাঙল গাড়ি। চূড়ান্ত মারামারিতে জখম দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। বুধবার বিকেল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। বিজেপির নিন্দা করে বামেদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে তাঁদের কার্যালয়ে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

এদিন উদিপুরে সিপিএমের মিছিল ছিল। সেখান থেকে অশান্তির মাত্রা শুরু হয়। উদিপুরে বিজেপির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে বাম নেতা–কর্মীদের। অভিযোগ, বামেদের কার্যালয় থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। ধারালো অস্ত্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা।

তার জেরে এক বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ। তারপরই জায়গায় জায়গায় বামেদের উপর হামলা হয়। এমনকী দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, সিপিএমের দশরথ ভবন, ভানু ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বিশালগড়ের বামেদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। পরে আগরতলায় বিশাল মিছিল বের করে বিজেপি। সেখান থেকেও ছড়ায় অশান্তি। এদিকে ‘আক্রান্ত’ বামেদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং এবং জয়া দত্ত। তাঁরা আগরতলায় বামেদের পার্টি অফিসে যান। আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিজেপির হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, সোমবার হামলার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ধনপুরে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কনভয়ের দু-একটি গাড়িতে হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় নিজের গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মানিক সরকার। তাঁকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে পালটা দুষ্কৃতীদের প্রতিরোধ করতে পথে নামে সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা।